ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া

জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে  প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2017, 11:22 AM
Updated : 2 Sept 2017, 06:37 AM

১৮২৮ সালে প্রথম শুরু হওয়া এই মাঠে এবার এটি হবে ঈদুল আজহার ১৯০ তম জামাত।

সদরর উপজেলা প্রশাসন জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করবেন কিশোরগঞ্জ শামছুদ্দিন ভূঁইয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি হিফজুর রহমান।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, জামাত নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের পাশাপাশি মাঠে এপিবিএন, পুলিশসহ সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবে।

মাঠের প্রতিটি প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় নজরদারী এবং মুসল্লিদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে শুধু জায়নামাজ নিয়ে মুসল্লিদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ জানান, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে মাঠে কাতারের দাগ কাটা, বালু ফেলা, দেয়ালে রং করা, পরিচ্ছন্নতাকরণসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে।

ঈদ জামাতে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং আরেকটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে আসবে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম আব্দুস সালাম গোলাপ বলেন, ইতিহাস সূত্রে জানা যায় মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় সাত একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।

“প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করে বলে মাঠের নাম হয় “সোয়া লাখি মাঠ”। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে পরিণত হয়ে নাম ধারণ করে আজকের শোলাকিয়া মাঠে।”

গত বছর ঈদুল ফিতরের দিন সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে পুলিশের চৌকিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় পুলিশের দুই সদস্য, এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন।