গর্তে ভরা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক, হয়নি সংস্কার

গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও গর্তে ভরা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিপীযূষ কান্তি আচার্য, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2017, 10:25 AM
Updated : 29 August 2017, 10:26 AM

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটির মধ্যে বড় বড় গর্ত হওয়ায় যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরিবহনের যাত্রী ও চালকরা।

মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড় থেকে সদর উপজেলার উজানিসার পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা। এই বেহাল মহাসড়ক দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার গাড়িগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

ঈদুল আজহার আগে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলার বিশিষ্টজনেরা।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ জানান, এ মহাসড়ক দিয়ে ১৫টি জেলার প্রায় ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার সংস্কার না করায় এবং বৃষ্টির কারণে সড়কটির নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় সড়কটির উন্নয়ন করা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়েছে। ঈদুল আজহার আগে ঘরমুখো মানুষ ও ঈদের পরে কর্মস্থলমুখী মানুষের যাতায়াত নিশ্চিত করতে সড়ক ও জনপথের কর্মীরা বড় বড় গর্তগুলো ইট, বালি, সুরকি দিয়ে ভরাট করার কাজ করছেন।

তবে ঈদের পরবর্তী সময়ে সড়কের কাউতলী থেকে রামরাইল পর্যন্ত সড়কটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি জেসমিন খানম বলেন, এ মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের ২০ কিলোমিটার দেখলে সড়কই মনে হয় না। খানাখন্দে ভরপুর এই সড়ক দিয়ে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সড়ক সেতু মন্ত্রীকে সড়কটি পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ১০ দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক সংস্কারের নির্দেশ দেওয়ার পরও এ সড়কটি সংস্কারের জন্য তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাদের বলেছেন। কিন্তু এখনও সংস্কার কাজ শুরু হয়নি।