তাদের কেউ পার্শ্ববর্তী উঁচু রাস্তায়, কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তারা বাড়ির মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্টেশন এলাকায় গত সোমবার থেকে ভাঙন চলছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ এলাকার অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্টেশন বাজার জামে মসজিদ ও প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এখনও সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তা পায়নি বলে ভাঙন কবলিতরা জানিয়েছেন।
নুরুল ইসলাম খান বলেন, “আমার ৪০ বছর আগের বাড়ি পদ্মা ভেঙে নিয়ে গেছে। এখন অন্যের জমিতে পানির মধ্যে ঘর তুলেছি। কী করব বুঝতে পারছি না।”
জয়বাহার ও মমতাজ বেগম বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান।
কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাননি বলে জানান রাবেয়া বেগম।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল আহম্দে বলেন, স্টেশন বাজারের কিছু অংশ ও কিছু ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর ত্রাণ দেওয়া হবে।