এ ঘটনায় আহত দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি ও মোহনা টিভির পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সোহাগ রহমানকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গলাচিপা থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হামলার ঘটনায় বুধবার সাংবাদিক সোহাগ রহমান বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ সোহাগ, তার ভাগ্নে ছাত্রলীগকর্মী মিলার বিশ্বাস, ছাত্রলীগকর্মী সুজন হাওলাদার। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ সোহাগকে প্রধান আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ওসি।
মামলার অভিযোগ, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে সোহাগ রহমান গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তানভীর আহমেদ সোহাগের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে ও কোপাতে শুরু করে। এসময় তারা সোহাগের কাছ থেকে ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও নগদ প্রায় দেড় লাখ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোহাগ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “আগে প্রকাশিত কোনো সংবাদে হামলাকারীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছে।
“হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। তাদের মধ্যে তানভীর আহমেদ সোহাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, তার ভাগ্নে মিলার বিশ্বাস ছাত্রলীগের সদস্য, সুজন হাওলাদারও ছাত্রলীগের সদস্য।”