শনিবার সীমান্তের ২৭৮ নম্বর মূল পিলার এলাকায় বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ অভ্যন্তরে লাশটি পাওয়া যায়।
মৃত তছলিম উদ্দিন (৪০) পাঁচবিবি উপজেলার কল্যাণপুর-পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নান্দু ফকিরের ছেলে।
তছলিমের স্ত্রী রোজী আক্তারসহ এলাকাবাসী জানান, ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাঠে শুক্রবার দুপুরে তছলিম উদ্দিন গরু-ছাগলের ঘাস কাটতে যান।
রোজী আক্তার বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে সেখান থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী -বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর মৃতদেহ কড়িয়া এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়।”
রোজী জানান, স্থানীয় কৃষকরা তছলিমের মৃতদেহ মাঠে পরে থাকতে দেখে তার পরিবারকে জানায়। পরে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে বিজিবি সদস্য ও পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমতিয়াজ চৌধুরী ও পাঁচবিবি থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
তছলিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাওয়ায় নির্যাতনেই তার মৃত্যূ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বলেন ওসি আশরাফুল।