কোটালীপাড়া থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, রোববার সকালে নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সরোয়ার হোসেন মামুন এ নির্যাতনের শিকার হন।
এ ঘটনায় সোমবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। পরে তারা এ ঘটনার বিচারের দাবিতে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিলাল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেন। রোববারও তারা বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেন।
এ ঘটনায় ওই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেনের বাবা আবুল কালামকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ঘটনার পর থেকে আবুল কালমসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চালাচ্ছে।
“এরপর সেখানে তার পা থেকে জুতা খুলে আমার মুখে মারতে থাকে। পরে অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করেন।”
কলেজের অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ওই ছাত্রের নাম (শাহরিয়ার হোসেন) ৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল। কিন্তু বোর্ড থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে ওই ছাত্রের নাম এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। ওই ছাত্র পরীক্ষায় পছন্দের সিটে বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
এ কারণে ওই ছাত্রের অভিভাবক ক্ষিপ্ত হয়ে সরোয়ার হোসেন মামুনকে মারধর করেছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরিদ আহম্মেদ সিকদার ও কামাল তালুকদার বলেন, শিক্ষককে মারপিট ও জুতাপেটা ঘটনা ন্যাক্করজনক কাজ।
এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানান তারা।