মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের মদনগঞ্জ শুভকরদী চর ধলেশ্বরী নদীর শাখা খালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম জানান।
নিহতেরা হলেন- বন্দর উপজেলার শুভকরদী এলাকার সেন্টু ঘোষের স্ত্রী তৃষ্ণা রাণী ঘোষ (৩০), তার মেয়ে শায়ন্তনী রাণী ঘোষ (৫) এবং ওই এলাকার কেতাব উদ্দিনের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী মাসুদ (৩৩)।
আহতরা হলেন- মৃত তৃষ্ণা রাণী ঘোষের জা ববিতা রাণী ঘোষ ও কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মিজানুর রহমান। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত ববিতা রাণী ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খালে গোসল করার সময় উপর থেকে আগুনের মতো কী যেন এসে পড়লে আমরা সবাই বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ি।
“এ সময় আমার জা তৃষ্ণা রাণী তার মেয়ে শায়ন্তিকা ও মাসুদ নামে আরেকজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া জানান, এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ বন্দর জোনাল অফিসের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এরা হলেন- পল্লী বিদ্যুৎ বন্দর জোনালের ডিজিএম জাকির হোসেন, এজিএম আব্দুল সালাম, প্রকৌশলী মমিনুর রহমান, লাইনম্যান নুরুল ইসলাম ও হোসেন আলী।
আহত কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই মিজানুর রহমান বলেন, তিনিসহ অন্যরা পুলিশ ফাঁড়ির পিছনে ধলেশ্বরীর শাখা খালে গোসল করতে যান। এ সময় পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যানরা নদীর উপর দিয়ে বয়ে যওয়া বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করছিলেন।
“হঠাৎ একটি খুঁটি থেকে বিকট শব্দে আগুনের গোলার মতো নদীতে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পানি বিদুতায়িত হয়ে যায়। ‘আগুনের গোলা’ পড়ার স্থানের কাছে থাকা তিন জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।”
বন্দর থানার ওসি আবুল কালম জানান, লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে স্পার্ক করে আগুনের গোলার মতো নদীতে পড়ে পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন জন নিহত হয়। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পল্লী বিদ্যুতের লাইন মেরামত করার সময় দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছে, বলেন ওসি।