পদ্মা নদীর ভাঙনে দৌলতদিয়ায় চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে দুইটি বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় চালু দুটি ঘাটও হুমকির মুখে রয়েছে।
Published : 18 Sep 2016, 04:19 PM
এদিকে ঘাট রক্ষার জন্য নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর জানান, শনিবার মধ্যরাতে যানবাহন ওঠানামার সংযোগ সড়কটির কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ৪ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। আরও কয়েকদিন আগে বন্ধ হয়েছে ২ নম্বর ঘাট।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৪ নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করলেও ঘাটটি কখন চালু হতে পারে তা নিশ্চিত করতে পারেননি গৌরপদ।
বর্তমানে ১ ও ৩ নম্বর ঘাট চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।
“গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এ কাজ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ায় চালু দুটি ঘাটও হুমকির মুখে আছে।”
গৌরপদ জানান, সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যৈই রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংসদ সদস্যের দুই জন প্রতিনিধি এবং স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হেকিম ঘাট এলাকা পরির্দশন করেছেন। এছাড়া রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিনাত আরা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির সার্বক্ষণিক ঘাটের তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর জানান, দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।