শুক্রবার সকাল থেকে মেহেরপুরের কোনো বাস চুয়াডাঙ্গা হয়ে চলতে দেখা যায়নি। চুয়াডাঙ্গার কোনো বাসও মেহেরপুরে যেতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার বড়বাজার কার্যালয়ে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রুপের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল হালিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি মেহেরপুর মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি গাড়িতে ৬০ টাকা চাঁদা দাবি করে, যা যুক্তিসংগত নয়।
“এই অন্যায় দাবির প্রতিবাদ করায় গত ৬ জুন মেহেরপুর মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গার বেশ কয়েকটি বাস যাত্রীশূন্য অবস্থায় মেহেরপুর থেকে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার বাস চলাচল বন্ধ করে দিই।”
তারপরও ‘মেহেরপুর মালিক সমিতি তাদের দাবি প্রত্যাহার না করায়’ শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেহেরপুরের সব যাত্রীবাহী পরিবহন চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
শুক্রবার সরজমিনে দেখা গেছে, উভয় জেলার বাস দুই জেলার সীমানা দরবেশপুর পর্যন্ত যাচ্ছে। সেখান থেকে আবার ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বলেন, চুয়াডাঙ্গার মালিক গ্রুপ বাধা দেওয়ায় মেহেরপুরের পরিবহন কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে।
এর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।