ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি অপরাধ স্বীকার করে হাকিমের কাছে জবানবন্দি দেওয়ায় আদলত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে ধনবাড়ী থানার ওসি মো. মজিবর রহমান জানান।
তিনি বলেন, শনিবার বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক লুনা ফেরদৌস এ আদেশ দেন।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী ‘বিনিময় পরিবহনের’ একটি বাসে এক পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ধনবাড়ি ধানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
পরে ওই বাসের চালক নয়ন ও তার দুই সহযোগী রেজাউল ও আব্দুল খালেককে ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে হাজির করে পুলিশ।
ওসি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
আদালত নয়ন ও রেজাউলকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়। আর খালেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
২৩ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার তার গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এক খালার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরে ফেরার জন্য ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে টিকেট কেটে বিনিময় পরিবহনের বাসে ওঠেন। সে সময় বাসে অন্য কোনো যাত্রী ছিল না। কেবল ওই নারীকে নিয়েই বাসটি রওনা হয়।
এরপর বাসের সব জানালা-দরজা বন্ধ করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে ধর্ষকরা ওই নারীকে বাস থেকে ফেলে দিলে মধুপুর–ময়মনসিংহ সড়ক থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান তার স্বামী।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রেহেনা পারভীন জানিয়েছেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই বিস্তারিত জানানো হবে।