বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আমিনুর রহমানকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নামে ডাকযোগে ওই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠি পাওয়ার পর নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান এ আইনজীবী।
একইসঙ্গে বিষয়টি জেলা আইনজীবী সমিতিকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আমিনুর বলেন, “বেলা পৌনে ২টায় স্থানীয় ডাকঘরের পিয়ন আমাকে ‘হলুদখামের’ একটি চিঠি এনে দেন। খাম ও চিঠির ওপর আমার নাম ভুল করে আমিনুল ইসলাম লেখা হলেও ঠিকানা দেওয়া হয়েছে আদালতের।
“চিঠিতে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠির শেষে শুধু ‘জেএমবি’ লেখা, তবে কোনো প্রেরকের ঠিকানা নাই।”
তিনি আরও বলেন, “চিঠিতে ‘তোমার আচরণ ও কার্যকলাপের জন্যই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তোমাকে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদাই জানাব’ এ হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
চিঠিতে লেখা আছে- ‘তোমার ক্ষত বিক্ষত লাশের টুকরোগুলো শিয়াল ও কুত্তার খোরাক যোগাবে। তোমার করুণ পরিণতি এলাকাবাসী ও জনসাধারণ দেখবে। তোমার অনেক পাপ তাই প্রায়শ্চিত্ত উপভোগ কর’, বলেন আমিনুর।
সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমিনুর রহমানের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিঠির বিষয়ে তদন্ত চলছে।
“চিঠিতে প্রেরকের ঠিকানা না থাকলেও খামের দুই পাশেই পঞ্চগড় ডাকঘরের সিল দেওয়া আছে। চিঠিটি পঞ্চগড় থেকেই পাঠানো হয়েছে।”
গত ২১ ফেব্রুয়ারি দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় হামলাকারীদের গুলি ও বোমায় আহত হন আরও দুইজন।