উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ঋষিপল্লীতে অগ্নিসংযোগ

এসএসসি পরীক্ষার্থী তিন কিশোরীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যশোরের মনিরামপুরে ঋষিপল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2016, 01:17 PM
Updated : 30 Jan 2016, 01:17 PM

শনিবার দুপুরে উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের পাড়ালা ঋষিপল্লীতে এ হামলার ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেহালপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক আব্দুর রাকিব।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।

স্থানীয় সাতগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী তিন কিশোরীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে বাহিরঘরিয়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন, পাড়ালা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে মামুন এবং তার বন্ধু রিমন। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে বলেও জানায় তিন শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর এ বিষয়টি জানাজানি হলে ইব্রাহিমসহ তার বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে এসআই রাকিব জানান, বুধবার স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইব্রাহিম ও তার সহযোগীরা তাদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় এক মেয়ের পরিবার বখাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

“শনিবার দুপুরে ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন লাঠিসোটা, লোহার রড ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঋষিপল্লীতে গিয়ে মুকুন্দ ও তার স্ত্রী পূর্ণিমাকে মারপিট করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এ সময় হামলাকারীরা বাধাদানকারীদের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে ওই পল্লীর অন্তত ১৫ জন আহত হন।”

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আসবাবপত্রসহ বাড়ি ঘরের বিভিন্ন মালামাল ভাংচুরের পর গোবিন্দ, মুকুন্দ ও নীলপদ দাসের ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

পল্লীর বাসিন্দা গোবিন্দ দাস বলেন, দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু সাঈদ ও ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

তবে এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, “বরং আমি সন্ত্রাসীদের বাধা দিয়েছি।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ঘটনার পর গিয়ে কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দেখেছি। তবে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা জানতে পারিনি।”