১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটি ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুদেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। পরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন ও বিজিবি চেক পোস্টের কাজ সম্পন্ন হলে কিছু লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে জাইকার তত্ত্বাবধানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ককে যুক্ত করতে আটটি সেতু ও আটটি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। একই প্রকল্পের আওতায় রামগড়ের ফেনীরকূল এলাকায় প্রধান সড়কে রোড লোড স্কেল প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে।
এ ছাড়া এক হাজার ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি কংজরী চৌধুরী বলেন, “রামগড় স্থলবন্দর শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্যই নয়; আর্ন্তজাতিকভাবে দুই দেশ লাভবান হবে। ভারতের সেভান সিস্টারর্স রাজ্যগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে।
“ভারত যেহেতু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিভিন্ন পণ্য রামগড় স্থলবন্দর হয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে নিয়ে যাবে সেক্ষেত্রে আমরা লাভবান হব। ইমিগ্রেশন চালু হলে রামগড়ের স্থানীয় অর্থনীতি বিকাশের পাশাপাশি ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নতুন মাত্রা যোগ হব “, যোগ করেন কংজরী চৌধুরী।
বহুল প্রত্যাশিত খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর ১৪ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। দেশের ১৫তম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম এ স্থলবন্দর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ স্থলবন্দর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. সরওয়ার আলম।
উদ্বোধন হলেও এখনি কার্যক্রম চালু হচ্ছে না জানিয়ে বুধবার সরওয়ার বলেন, “লোক পারাপার কার্যক্রম চালু করতে ইমিগ্রেশন বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে ভারতের সাব্রুম ইমিগ্রেশন প্রস্তুত হতে আরও এক থেকে দুই মাস লাগতে পারে।
“সীমান্ত জটিলতার যে সমস্যা ছিল এরই মধ্যে তার সমাধান হয়েছে। বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রামগড় ও ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশ।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ চলবে। স্থলবন্দর চালুর লক্ষে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি সেতু নির্মাণ করেছে ভারত।