শহরের চণ্ডিবের মধ্যপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রূহানি জানান।
Published : 19 Jan 2025, 11:32 PM
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩০টি দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা এবং শনিবার দুপুরে ভৈরব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডিবের মধ্যপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রূহানি জানান।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরের দিকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি শরীফুল আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ এক বিএনপি নেতাকে দেখতে যান।
এ সময় সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হাজী আক্তার মিয়া এবং সফিকুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের আট থেকে নয়জন নেতাকর্মী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ১০-১২টি দোকানপাট।
খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনার জের ধরে রোববার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই পক্ষের লোকজন আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আরও ১০-১২ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় কমপক্ষে ২০টি দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ওসি ফুহাত রূহানি বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা হাজী আক্তার মিয়া এবং সফিকুল ইসলামের সমর্থকরা একে অপরকে দোষারূপ করেছেন।