এ ঘটনায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।
Published : 21 Mar 2025, 01:20 PM
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পথচারীকে চাপা দিয়ে যাত্রীবোঝাই ভটভটিকে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রাক। এতে পথচারী ও ভটভটির এক যাত্রীর প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।
শুক্রবার সকালে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার রণবীর বালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শেরপুর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন।
নিহতরা হলেন- শেরপুর খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের প্রয়াত কছিম উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৫২) এবং একই ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের প্রয়াত হাবিবুর রহমান প্রামাণিকের ছেলে হানিফ উদ্দিন (৩৫)। এদের মধ্যে হারুন পথচারী এবং অপরজন শ্রমিক।
আহতরা হলেন- সুন্দরী (৪৫), বসন্তী (৫০), সুর্বতি (৪৫), চায়না (৪০), পবিত্র (৪৫), স্বরসতি (৫৫), সাগরিকা (৫০), সুনিল (৫০), মনন্তর (৪৮), পয়ত্রি (৫২), মো. সাত্তার (৬০), বাসরি (৫০), বাশরি (৫০) এবং ক্ষন্নষশি হারান (৫০)। তারা সবাই উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঝর এলাকার বাসিন্দা। তাদেরকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত আরও সাতজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুল বলেন, ধুনটগামী একটি ট্রাক পথে রনবীর বালা বশীর পাগলা মাজারের কাছে পথচারী হানিফকে চাপা দিয়ে ২০০ গজ দূরে যাত্রীবাহী একটি ভটভটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাক ও ভটভটি উল্টে যায়।
আর ঘটনাস্থলেই মারা যান পথচারী হানিফ ও ভটভটি যাত্রী হারুন অর রশিদ। আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।
আহত ক্ষন্নষশি হারান বলেন, “আমরা সকালে ঝাঝর এলাকা থেকে ভটভটিতে করে ১৭ জন নারী ও পাঁচজন পুরুষ আলু তোলার কাজে কুসুম্বি যাচ্ছিলাম। পথে ট্রাকটি ধাক্কা দিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।”
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পরপর চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান এসআই তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।