“এলাকাবাসী পলিথিনগুলো দেখে থানায় দিলে পুলিশ গিয়ে ইট দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় নয়টি পলিথিন উদ্ধার করে।”
Published : 02 Oct 2024, 03:22 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে হত্যার পর তার লাশ নয় টুকরো করে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, গত শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণ মিয়া। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রামের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অরুণ ওই ফরদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম সুরুজ বেপারী। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরিদর্শক সুজন বলেন, “পারিবারিক কলহের জেরে মোমেনা অরুণের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। পরে মোমেনা লাশ নয় টুকরো করে নয়টি পলিথিনে বেঁধে পাশের সৌদি প্রবাসী প্রতিবেশী মনির মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।
“মঙ্গলবার সেখান থেকে থেকে গন্ধ বের হলে এলাকাবাসী পলিথিনগুলো দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ইট দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় নয়টি পলিথিন উদ্ধার করে। পরে অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল তার লাশ সনাক্ত করেন।”
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সৎ মা মোমেনা ও সৎ বোন লাকিকে আসামি করে লুৎফর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।