সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জলকপাটগুলো ৬ ইঞ্চি করে খোলা হবে।
Published : 25 Aug 2024, 01:26 AM
হ্রদে পানির প্রবাহ কম থাকায় কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট রাতে না খুলে রোববার সকালে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কপাটগুলো রোববার সকাল ৮টায় খোলা হবে বলে জানান কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
রাতে তিনি বলেন, “শনিবার রাত ১০টায় ঠিক সময়ে গেইট খোলার জন্যই আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু পানির প্রবাহ কম থাকায় এবং রাত্রিকালীন যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে রোববার সকাল ৮টায় গেইটগুলা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ ইঞ্চি করে জলকপাট খোলা হবে বলেও জানান তিনি।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত কবীর বলেন, “হ্রদে পানির প্রবাহ রাত ১০টায় আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। এ ছাড়াও রাত্রিকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় সকালেই গেইট খোলার সিদ্ধান্ত হয়।”
রাত ১০টায় হ্রদে ১০৮ মিন সি লেভেল (এমএসএল) পানি ছিল বলে জানান তিনি।
এর আগে দেশের বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি আসায় ও বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় শনিবার রাত ১০টায় হ্রদের ১৬টি স্পিলওয়ে বা জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার সিএফএস পানি হ্রদ থেকে নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়বে বলে জানায় কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
বৃষ্টিপাত বা পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক বাড়লে জলকপাট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়।
কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা সাধারণত ১০৯ ফুট। বর্তমানে পানির উচ্চতা প্রায় ১০৮ ফুট।
বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটির বন্যা নিয়ন্ত্রণে জলকপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
তিনি বলেন, “একইসময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রায় ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।”
আরও পুড়ন: