৫ অগাস্ট মিরাজ ঢাকায় যাত্রাবাড়ীতে মিছিলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার তিন দিন পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
Published : 14 Nov 2024, 09:08 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মিরাজ খানকে দাফনের ৯৮ দিন পর তার মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ভোরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাওসার হোসেন বলেন, মিরাজের বাবার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষে আবার লাশ দাফন করা হবে।
নিহত মিরাজ মহিষখোচা ইউনিয়নের খাঁনপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।
স্বজনরা জানান, পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ঢাকায় যাত্রাবাড়ীতে একটি মোবাইলের দোকানে কাজ নেন মিরাজ। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মিছিলে অংশ নেন তিনি।
৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর যাত্রাবাড়ীতে একটি মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন মিরাজ। ঢাকায় চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৮ অগাস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মিরাজের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মোতাহের হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ ও লালমনিরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমানসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
লাশ উত্তোলনের সময় লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম ফজলুল হক, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে-আলম-সিদ্দিকী, আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সানাউল হাসানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।