স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখা হচ্ছে দেওয়ানবাগীর আস্তানা ভাঙচুরের জন্য।
Published : 08 Sep 2024, 04:46 PM
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানায় হামলা-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ছোঁড়া ইট-পাটকেলে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
রোববার সকালে উপজেলার আমিরাবাড়ি ইউনিয়নে ওই আস্তানায় বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশের পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারপরেও উত্তেজিত জনতা দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানায় হামলা-ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছোঁড়ার চেষ্টা করে।
এসময় আস্তানার প্রধান গেটের সামনে একটি ঘরে আগুন দেয় তারা। পরে তাদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানা থেকে ভক্ত ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে ছোঁড়া ইটপাটকেল এবং লাঠিচার্জে ১০-১২জন আহত হয়।
তাৎক্ষণিক ভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় আতিকুল ইসলাম বলেন, ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে কয়েকদিন আগে থেকেই সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে লিখা হচ্ছে দেওয়ানবাগীর আস্তানা ভাঙচুরের জন্য।
“রোববার সকালে বিক্ষুদ্ধ মানুষ দেওয়ানবাগীর আস্তানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তা রুখে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরাও চাই এখানে যেন বিতর্কিত কোনো কর্মকাণ্ড না হয়।”
আমিনুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, “আমরা চাই ধর্ম হোক শান্তির। কিন্তু তাদের কার্যকলাপ আমাদের ইসলাম ধর্মের সাথে কোনোভাবেই যায় না। তাই সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত।
“দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানা এখান থেকে সরানো না হলে মানুষের ক্ষোভ কোনোভাবেই কমবে না”, যোগ করেন তিনি।
দুপুরে ওসি কামাল হোসেন বলেন, “প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। ইটপাটকেলে কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী আছে বলেও জানান তিনি।