২০১৯ সালে নরসিংদীর পার্লার ব্যবসায়ী এক নারীকে হত্যা মামলায় মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
Published : 29 Jul 2024, 05:45 PM
হামলা, অগ্নিসংযোগের পর নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পলাতক যাবজ্জীবন সাজার এক কয়েদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের বামনেরচর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান রৌমারী থানার পরিদর্শক গোলাম মর্তুজা।
গ্রেপ্তার মামুন মিয়া ওই গ্রামের শাহিনুর রহমানের ছেলে। তিনি বহুল আলোচিত কান্তা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি।
পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেই সময় হামলাকারীরা সেলের তালা ভেঙে দিলে নয় ‘জঙ্গি’ সহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে মামুন মিয়াও ছিলেন।
পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মর্তুজা বলেন, কারফিউয়ের মধ্যে মামুন ভ্যান, ইজিবাইক ও ট্রাকে করে দুই দিন পর রৌমারী উপজেলায় নিজ বাড়িতে পৌঁছান। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে রৌমারী থানার এসআই তাজুল ইসলাম, জুয়েল, এএসআই জয়নালসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মামুনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।
মামুনকে আদালতের মাধ্যমে নরসিংদী কারাকর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান গোলাম মর্তুজা।
তিনি জানান, ২০১৯ সালে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পার্লার ব্যবসায়ী মার্জিয়া আক্তার কান্তাকে হত্যা মামলায় মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ের পর থেকে তিনি নরসিংদী জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এদিকে ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় পাঁচটি, মাধবদী থানায় চারটি, শিবপুরে একটি ও রায়পুরায় একটি করা হয়েছে।
এ ছাড়া কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৭টি উদ্ধার, সাত হাজার রাউন্ড গুলির মধ্যে এক হাজার ৯১ রাউন্ড গুলি ও ২২৭টি গুলির খোসা, ২০টি ম্যাগাজিন ও ১০টি হাতকড়া উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন নরসিংদী পুলিশ।
সেইসঙ্গে পলাতক ৮২৬ কয়েদির মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তারসহ ৫৫১ কয়েদি থানা ও আদালতে আত্মসমর্পণের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:
নরসিংদীতে জেল পলাতক ৪৪৯ কয়েদির আত্মসমর্পণ