ওই ভবনের ছাদ থেকে একটি মোবাইল, ধারালো অস্ত্র ও নিহতের কাটা আঙুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 10 Sep 2024, 09:07 PM
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক তরুণকে কুপিয়ে ১০তলা থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান।
নিহত সাব্বির হোসেন (২০) উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় সাব্বিরের বড় ভাই আবির হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান ওসি নাসিম।
এতে সাব্বিবের দুই বন্ধুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারনামীয় আসামি মো. রাকিম (২১) ও মো. সাকিব (২১) যমজ ভাই। তারা উপজেলার সফিপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ওই দুই ভাই পলাতক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার রাকিব, সাকিব ও সাব্বির একসঙ্গে একটি জিমে (ব্যায়ামাগার) যান। সেখান থেকে তারা রাকিব-সাকিবদের বাসা ‘ইউনিক টাওয়ারের’ ছাদে ওঠেন। সঙ্গে ছিল স্থানীয় দুই কিশোর।
পরে দুই কিশোরকে মুড়ি কিনতে দোকানে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর ওই দুই কিশোর ফিরে আসে এবং ভবনের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে তারা ছাদে গিয়ে সাব্বিরের কাটা আঙুল ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে। কিন্তু রাকিব ও সাকিব সেখানে ছিলেন না।
স্থানীয়রা সাব্বিরকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ ঘটনার পর থেকে রাকিব ও সাকিব পলাতক। তাদের ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।
ওই ভবনের ছাদ থেকে একটি মোবাইল, ধারালো অস্ত্র ও নিহতের কাটা আঙুল উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, “বন্ধুদের মধ্যে কোনো কিছুর কারণে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সাব্বির হোসেনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”