পদ্মা সেতুর মূল পাঁচটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 17 Jul 2024, 10:36 PM
পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর প্রান্তে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরার পদ্মা সেতু সংলগ্ন জমাদ্দার মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও দুপুর ২টার দিকে জাজিরার ক্লাবমোড় এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে ও আন্দোলনে নিহতের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে শরীয়তপুর-মাদারীপুরের শিক্ষার্থীরা পদ্মা সেতু সংলগ্ন জমাদ্দার মোড়ে অবস্থান নেয়।
এ সময় ছাত্রলীগ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে ছাত্রলীগ-পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়ায় আন্দোলনকারীরা পিছু হটলে সড়কটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ।
ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের ১০ জন আহত হন।
নুর ইসলাম, আতাউর রহমান বেপারী নামে আহত দুই শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে তারা পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার সামনে এলে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হঠাৎ করেই হামলা চালায়। পরবর্তীতে তারা জমাদ্দার মোড়ে এলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে তারা দুজনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তারা বলেন, যতই বাধা আসুক কোটা সংস্কার না করে তারা ঘরে ফিরবেন না।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের প্রতিরোধ পিছু হটে তারা।
জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হোসেন মাদবর বলেন, “কোটা আন্দোলনের নামে ছাত্রদলের ইন্ধনে কিছু শিক্ষার্থী মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু অবরোধ করার চেষ্টা করে। আমরা খবর পেয়ে সাধারণ জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় তাদের সরিয়ে দিয়েছি “
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি শেখ শরীফুল আলম বলেন, “স্থানীয় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের আমরা বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। ”
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, “ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর ছাত্রদের আমরা বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। পদ্মা সেতুর মূল পাঁচটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত।”