হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা বিল্লাল স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 02 Aug 2024, 05:34 PM
রাঙামাটিতে স্ত্রী ও শাশুড়িকে লোহার শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
কাউখালী উপজেলার কাশখালী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে কাউখালী থানার ওসি রাজীব চন্দ্র কর জানান।
নিহতরা হলেন-কাশখালী এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে ফাতেমা বেগম (২৬) ও তার মা আয়েশা খাতুন (৬১)।
এ ঘটনায় ফাতেমার স্বামী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাইরা গ্রামের আনজু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
ফাতেমার প্রতিবেশী রোকেয়া বেগম জানান, তিন বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে বিল্লালের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফাতেমাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বিল্লাল। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে।
স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে দুই মাস আগে মায়ের বাড়িতে চলে আসে ফাতেমা। এরপর ২৯ জুলাই তোকে ফিরিয়ে নিতে কাশখালী আসেন বিল্লাল।
রোকেয়া বলেন, “ওইদিন ফাতেমা বিল্লালের সঙ্গে ফিরে যেতে রাজি না হয়নি। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কাউখালী বাজারে কাজী অফিসে বিবাহ বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ফাতেমা ও বিল্লালের ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর ক্ষোভ নিয়েই কুমিল্লায় ফিরে যান বিল্লাল।”
বৃহস্পতিবার রাতে ফাতেমার দুই বছরের ছেলে পাশের বাড়িতে ‘বাবা কই’ ‘বাবা কই’- বলে ডাকাডাকি শুরু করে। তখন সন্দেহ হলে স্থানীয়রা গিয়ে ঘরের ভেতরে ফাতেমা ও তার মা আয়েশাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানান তিনি।
“পরে বিল্লাল পালিয়ে যাওয়ার সময় কাউখালী-রানীরহাট সড়কের বেতছড়ির পাইন বাগান এলাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।” বলেন রোকেয়া।
এদিকে স্ত্রী ও শাশুড়ি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা বিল্লাল স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েন ওসি রাজীব।
তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।