২০০৩ সালের ২৭ মে ভুক্তভোগী ১৭ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিক কারখানা থেকে ফেরার পথে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ।
Published : 26 Feb 2024, 10:12 AM
মানিকগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ২১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ ও সবজি বিক্রি করে তিনি এতদিন পলাতক ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
১৭ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এই আসামিকে রোববার রাতে সিংগাইরের পরভূম দক্ষিণ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
গ্রেপ্তার আবুল মিয়া (৪৫) সিংগাইর ধল্লা উত্তর পাড়া এলাকার গেদার ছেলে।
রোববার রাতে র্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিকের (১৭) বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকায়। সেখান থেকে সাভারের হেমায়েতপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন তিনি।
বাড়ি থেকে কর্মস্থলে আসা যাওয়ার পথে তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন আবুল মিয়া। তাতে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন আবুল।
২০০৩ সালের ২৭ মে ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক কারখানা থেকে ফেরার পথে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা বাজারে পৌঁছালে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে জোরপূর্বক অপহরণ করেন আবুল মিয়া, মানিক, খালেক ও কালাম।
তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পোশাক শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আবুল ও মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ১৪ মে আবুল ও মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেকটি ধারায় আবুলকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
র্যাব আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আবুল মিয়া জানিয়েছেন পরিচয় গোপন করতে রাজিব ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন তিনি। এই নামে বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ ও সবজি বিক্রি করেছেন।