সোমবার বিকালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে হামলা ও ভাঙচুরের পাশাপাশি দায়িত্বরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হুমকি দেন।
Published : 22 Aug 2023, 09:43 PM
রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের ভাঙচুরের জেরে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা; বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলবে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার একথা জানান।
তিনি বলেন, “ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যেখানে আগামীকাল ১২ টার মধ্যে দৃশ্যমান উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম ভূঁইয়া। যদি আমারাও নিরাপত্তায় উন্নতি দেখতে পাই তাহলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেব।”
হাসপাতালে এ মুহূর্তে ২৩০ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কর্মরত বলেও জানান তিনি।
সোমবার বিকালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে হামলা ও ভাঙচুরের পাশাপাশি দায়িত্বরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হুমকি দেন।
এ ঘটনার পর থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই দফায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করলেও কর্মবিরতি থেকে সরে আসেননি চিকিৎসকরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হাসপাতালে ভাঙচুর, হামলা ও হেনস্তার ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল মালেক, সাবেল আহমেদ, জোবেল আহমেদ এবং জুয়েল আহমেদ। এদের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুচাই এলাকায়।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিব এই চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসারের সম্বনয়ে শক্তিশালী টিম গঠন করা হচ্ছে। আর নিয়ম করা হচ্ছে হাসপাতালে আসা রোগীর সঙ্গে একজন করে স্বজন থাকতে পারবেন। কোনো রোগীর স্বজন যদি উত্তোজিত হয়ে যান; তাহলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”
এছাড়াও হাসপাতালে নিয়োজিত পুলিশের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।