বরিশালে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (৪০) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2023, 01:43 PM
Updated : 2 Jan 2023, 01:43 PM

বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা।

সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাবেক এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করা হয় বলে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির জানান।

তিনি আরও বলেন, বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন অভিযোগটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলার গ্রহণ বিষয়ে শুনানি হবে।

বাদী (৩৭), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের (৪০) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি এখন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত বলে জানা গেছে।

তবে এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য সোমবার বিভিন্ন সময়ে পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের মোবাইল ফোন ও হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করেও জবাব পাওয়া যায়নি।

বাদীর আইনজীবী বিপ্লব কুমার রায় জানান, বাদী ও বিবাদী একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতেন। সেই সূত্রে তারা পূর্বপরিচিত। বরিশাল এসে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের বিষয়টি নারী কর্মকর্তার স্বামী জানতে পেরে গত বছরের জানুয়ারিতে ডিভোর্স দেন।

অভিযোগে দাবি করা হয়, এরপর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোতে ‘ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী’ ওই নারীর সঙ্গে ফেরদৌসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেন। তবে গত বছরের মার্চে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ ওই বাংলাতো আসেন, তখন বাদীও সেখানে যান। বিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দিলে তখন তাকে মারধর করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বছরের ২২ জুলাই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকার ইস্কাটনে পুলিশ অফিসার্স মেসে যান। ২৫ জুলাই গুলশানের এক বন্ধুর বাসায় তাদের বিয়ে নিবন্ধন হয়। পরে তারা বরিশালে ফিরে আসেন।

তবে এরপর কাবিননামা চাইলেও তা পাননি জানিয়ে বাদী বলছেন, গত ৮ অক্টোবর ফেরদৌস বরিশাল থেকে চলে যান। এরপর যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের কথা ‘ভুলে যেতে’ বলেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন।

এরপর গত ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই নারী আইনি নোটিস পাঠান। জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। তখন পুলিশ আদালতে মামলার পরামর্শ দেয় বলে বাদীর আইনজীবী বলেন।