দেশ যখন ভালোভাবে চলছে তখন আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা নানা বিশৃঙ্খলা পাকানোর চেষ্টা করছে, বলেন বক্তারা।
Published : 11 Nov 2024, 12:17 AM
সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মো. আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, ফাহাদুল ইসলাম ও আসিফ নজরুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ ওঠা শ্যামল খানের ভাতিজা সাদমান খান।
এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা সেখানে ছিলেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনিভা বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এ সময় প্রটোকল কর্মকর্তারা আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন।
উপদেষ্টা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত কয়েকজন তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে যান।
সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন।
শ্যামল খানের বাড়ি টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া এলাকায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৫ অগাস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়েছে। আবু সাইদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে ছাত্র জনতার বিজয় হয়েছে। দেশ ভালোভাবে চলছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা নানাভাবে বিশৃঙ্খলা পাকানোর চেষ্টা করছে।
ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে দেশের মানুষ এর সঠিক জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তরা।
ছাত্রলীগের মত আওয়ামী লীগ, যুবলীগকেও নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর টাঙ্গাইলের শ্যামল খানসহ যারা সুইজারল্যান্ডে আসিফ নজরুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাহস থাকলে দেশে আসেন। ছাত্র-জনতা এসবের সঠিক জবাব দেবে।