কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় কয়েদিদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
Published : 09 Aug 2024, 01:28 AM
জামালপুর কারাগারে দুদল কয়েদির মধ্যে লাগা সংঘর্ষ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় জেলা কারাগারের ফটকের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সংঘর্ষে আহত কারাধ্যক্ষ আবু ফাতাহ।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারের ভেতরে বন্দিদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। বন্দিরা লোহার রড, ইটের টুকরো ও দা ব্যবহার করেন। সংঘর্ষ থামাতে গেলে বন্দিরা প্রথমে তাকে মারধর করে কারাগার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুড়েন কারারক্ষীরা।
পরে বিক্ষুব্ধ বন্দিরা কারাগারের ভেতরের দুটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান গেইটের ভেতরে গেইট ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করেন।
বন্দিদের কাছে জিম্মি হন ১৪ কারারক্ষী। এর মধ্যে তিন জন নারী।কারাধ্যক্ষ আবু ফাতাহ বলেন, “পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে জিম্মি কারারক্ষীদের ফেরত দেন বন্দিরা।
সংঘর্ষে আহত কারারক্ষীরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম, সাদেক ও রোকনুজামান।
তাদের দুজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ও একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত কারাধ্যক্ষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।”
তিনিসহ কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় বন্দিদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে কারাগারের অস্ত্রাগার ঠিক আছে বলে দাবি আবু ফাতাহ’র।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, জামালপুর জেলা কারাগারে ৬৬৯ জন বন্দি আছেন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন ১০০ জন। এছাড়া এই কারাগারে কোনো জঙ্গি কয়েদি নেই।