কুমিল্লার বরুড়ায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর এক মুদি দোকানি মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে বরুড়া থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন জানান।
নিহত ৭০ বছর বয়সী মুদি দোকানি আব্দুল কাদের জালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার [১৬ মার্চ] সকালে নিজ দোকানে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে একদল হামলাকারী।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গত সোমবার থানায় মামলা করেছেন আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সেলিনা আক্তার।
মামলার বরাতে সেলিনা আক্তার বলেন, স্থানীয় হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে তার স্বামীর জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধ রয়েছে।
“ঘটনার দিন একই গ্রামের হুমায়ুন কবির এবং তার ছেলে মাহাবুব আলম ও মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন দোকানে হামলা চালান। তারা আব্দুল কাদেরকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।”
এ ঘটনাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামলার সময় ফুলবানু নামের এক বৃদ্ধা তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
“আমার স্বামীকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।”
নিহতের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার বলেন, “সন্ত্রসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার বাবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে; পায়ের হাড় ভেঙে দেয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।”
ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে; দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ওসি।