এই মধু আহরণ মৌসুম চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
Published : 01 Apr 2024, 05:52 PM
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাংলা ১৪৩০ মৌসুমের মধু আহরণের মৌসুমের প্রথম দিন সহস্রাধিক মৌয়াল নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট সরকারি স্কুলে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে এ মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়।
এই মধু আহরণ মৌসুম চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন, পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, শ্যামনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি। এ সময় মৌয়াল ও মধু ব্যবসায়ীরা উপস্থিতি ছিলেন।
সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলন বলেন, “সাতক্ষীরার সুন্দরবনে যে মধু পাওয়া যায় এটি আর কোথায় পাওয়া যায় না। হাতেগোনা দুই-একজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এখানকার মধুর দুর্নাম হয়েছে।
“সুন্দরবনকে আগের তুলনায় সংরক্ষণ করা গেছে। আমাদের বন বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী ১০০ বছরে সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে।”
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মহসিন বলেন, “সড়ক পথে সুন্দরবন দেখাতে চাই। সেজন্য মৌ জাদুঘর করা হয়েছে। সুন্দরবনের অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও করা হবে। সুন্দরবনের বিভিন্ন পশুপাখি, গাছ ও মৌমাছি দেখিয়ে উপার্জন করবেন। আর আপনাদের সুন্দরবনের গাছ কাটা লাগবে না। ট্যুরিজম শিল্প বিকশিত করতে হবে। ট্যুরিজম শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।
“যারা হরিণ শিকার করতো, বিষ দিয়ে মাছ শিকার করতো- তারা ভুল বুঝতে পেরে ঘৃণিত কাজ না করার অঙ্গীকার করেছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ল্যাব স্থাপন করা হবে।”
মধু আহরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ১০ হরিণ শিকারি ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারি আত্মসমর্পণ করেন বলে জানান তিনি।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা ইকবাল হোসাইন জানান, মৌয়ালরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে প্রথম খলিশা ফুলের মধু আহরণ শুরু করে। সমগ্র আয়োজন ছিল অত্যন্ত উৎসবমুখর।
এবারের মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৯৫০ কুইন্টাল, মৌমা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৮৫ কুইন্টাল। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৫৩টি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।