বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা থেকে বের হয়নি। শ্রমিক-দিনমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
Published : 02 Aug 2024, 05:05 PM
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চাঁদপুরে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। এতে শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৭ মিলিমিটার।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রেকর্ড হয়েছে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। সন্ধ্যার পরে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও মধ্যরাত থেকে আবার বেড়েছে। বিশেষ করে শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত আছে।
বুধবার দুপুর থেকেই শুরু হওয়া ও থেমে চলা ভারি বৃষ্টির কারণে শহরের নাজির পাড়া, মাদ্রাসা রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় সড়কে পানি জমে আছে। ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি কমলে পানি কিছুটা হ্রাস পায়। আবার বৃষ্টি হলে একই অবস্থা।
এদিকে বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা থেকে বের হয়নি। শ্রমিক-দিনমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
শহরের পুরাণ বাজারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেক দোকান দেরিতে খুলেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার পরে দোকানগুলো খুলেছে।
শহরের মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের সড়কে পানি। এখন পর্যন্ত একই অবস্থা। মসজিদ ও বাসা বাড়িতেও পানি উঠে গেছে।
“পানি গড়িয়ে নামলেও কমছে না। একটু কমলেও বৃষ্টিতে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুমের কারণে আবার নদীতেও এখন পানি ভরপুর।”
শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকাল বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বাবু বলেন, “টানা বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার সড়ক ডুবে যায়। তবে সকালে কিছুটা পানি কমেছে।”
সদর উপজেলার রামপুর এলাকার বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমাদের এলাকায় সড়কে এখনো পানি উঠেনি। কারণ ডাকাতিয়া নদী পাশে থাকায় পানি নেমে যায়। তবে বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না “
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত ট্র্যাফিক পরির্দশক (টিআই) মো. শাহ্ আলম জানান, টানা বৃষ্টি হচ্ছে তবে চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।