এক ব্যক্তি পুরনো এলাকাতেই ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালুর দাবিতে উচ্চ আদালতে মাসখানেক আগে একটি রিট করেন।
Published : 19 Nov 2024, 07:02 PM
ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ সবকিছু ঠিক থাকলেও শুধু একটি রিটের কারণে আইনগত ঝামেলায় উদ্বোধন করা যাচ্ছে না শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এতে উপজেলাবাসী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আগে মুলফৎগঞ্জে ছিল। ২০১৮ সালে হাসপাতালের অধিকাংশই পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নড়িয়া পৌরসভায় এলাকায় উপজেলা পরিষদের কাছাকাছি হাসপাতালটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়। এর কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর।
কিন্তু কেদারপুর এলাকার এক ব্যক্তি পুরনো এলাকাতেই ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালুর দাবিতে উচ্চ আদালতে মাসখানেক আগে একটি রিট করেন। সেই রিটের নিষ্পত্তি না হওয়ায় হাসপাতালটি উদ্বোধন করা যাচ্ছে না বলে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুল জমাদ্দার জানান।
উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, নতুন হাসপাতাল ছয় একর এলাকায় নির্মাণে ৫৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নতুন হাসপাতালে প্রায় সব কাজ শেষ। চিকিৎসক ডরমেটরি, নার্সদের ডরমেটরি, স্টাফদের ডরমেটরি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বাসভবন, বিদ্যুতের সাব-স্টেশন, গেরেজ ও নার্সদের কোয়ার্টারসহ সব ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।
নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা আবুল হোসেন, নুরু মিয়া, জাহিদ হোসেন বলেন, নতুন হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় এলাকার মানুষজন সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের উচিত দ্রুত আইনি ঝামেলা মিটিয়ে হাসপাতালটি চালু করা।
উপজেলার মোক্তারের চর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাদশা শেখও একই দাবি জানান।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুল জমাদ্দার বলেন, স্থানীয় একজনের রিটের কারণে হাসপাতালটির উদ্বোধন করা যাচ্ছে না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুতই এর সমাধান হবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, “ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করে হাসপাতালটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা একাধিকবার তারিখ দিয়েও তা উদ্বোধন করতে পারছি না।
“এভাবে আধুনিক এ হাসপাতালটি পরে থাকলে একদিকে জনসাধারণ সেবা বঞ্চিত হবে; অপরদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হবে। আশা করছি, শিগগির উদ্বোধন করা যাবে।”