“সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ হল আমাদের-আপনাদের।”
Published : 25 Mar 2025, 12:00 AM
দেশের কোনো ‘প্রতিষ্ঠানের’ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘নেতিবাচক’ দৃষ্টিভঙ্গি নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক ইফতার অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, গত তিন দিন ধরে বাংলাদেশে টক অব দা টাউন, আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ধরনের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নেই।
“বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমাদের সার্বভৌমত্বকে, আমাদেরকে রক্ষা করতে দেখেছি। ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাত্র-নাগরিককের সঙ্গে আওয়ামীবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা এ বিষয়টি বলব, আপনার জনগণের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নিয়েন না।”
কসবা মহিলা কলেজ মাঠে এনসিপির উপজেলা শাখা এ ইফতার আয়োজন করে।
হাসনাত বলেন, “গত দেড় দশকে যে জুলুম হয়েছে, ডামি নির্বাচন হয়েছে, দিনের ভোট রাতে হয়েছে, কবর থেকে এসে ভোট দিয়ে গেছে, এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা কোনো জেনারেলকে পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমরা কোনো সচিবকে পদত্যাগ করে দেখি নাই।
“আমরা কোনো ডিসিকে জনতার কাতারে নেমে আসতে দেখি নাই। আমরা আপনাদের সামনে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, পরবর্তী বাংলাদেশটা আওয়ামী লীগ যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে, আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে, আপনাদের সহযোগিতায় এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া হাসনাত বলেন, “আপনাদেরকে সচেতন থাকতে হবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, জনতাকে যেন এগুলোর বিরুদ্ধে কেউ দাঁড় করিয়ে না দেয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।
“সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান হল আমাদের-আপনাদের।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ তিনি বলেন, “আপনারা সংস্থার সংস্কার করছেন, কত দিনের মধ্যে আপনারা দৃশ্যমান সংস্কার করবেন, এ ব্যাপারে রোড ম্যাপ আপনাদেরকে স্পষ্ট করতে হবে।
“আপনাদেরকে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচার যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত না হয়, তাহলে আমরা ধরে নেব এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দোসরা অ্যাকটিভ রয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, “আপনার কাছে আহ্বান করব, আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই দলকে চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”