ডিসিকে স্যার বলতে বাধ্য করার অভিযোগ রোকেয়ার শিক্ষকের

জেলা প্রশাসক তার কার্যালয় থেকে নেমে দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টির সেখানে ইতি ঘটে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2023, 06:37 PM
Updated : 22 March 2023, 06:37 PM

রংপুরের জেলা প্রশাসককে স্যার বলতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক।

বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। 

পরে জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন কার্যালয় থেকে নেমে এসে দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টির সেখানে ইতি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বসে পড়েন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। ওই সময় তার মেয়েও সঙ্গে ছিল।

প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: ‌রংপুরের জেলা প্রশাসককে স্যার ডাকতে বাধ্য করায় অবস্থান কর্মসূচি।

বিষয়টি ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ।

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। 

সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ কৌতূহলী মানুষজনের উদ্দেশে উমর ফারুক বলেন, একটি স্কুলের বিষয়ে কথা বলতে তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে যান মেয়ে অক্ষরসহ। রংপুরের প্রথম শহীদ শংকু সমাজদারের নামে প্লে গ্রুপ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত গত তিন বছর থেকে তিনি একটি স্কুল পরিচালনা করছেন। সেই স্কুলের কাজে গিয়েছিলেন।

উমর ফারুকের অভিযোগ, জেলা প্রশাসককে স্যার সম্বোধন না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ সময় এ বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে সেই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

“এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক নিচে নেমে এলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষকও সেখানে উপস্থিত হন।”

রাত পৌনে ৯টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমি স্যার সম্বোধন করতে বলিনি। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি।”