সাইদুল আলোচিত শামসুল হুদা সুমন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামি ছিলেন।
Published : 17 Sep 2024, 08:13 PM
ময়মনসিংহ সদরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তারের পর ফাঁসির দণ্ড পাওয়া যুবদলের এক নেতা মারা গেছেন।
পরিবারের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে অস্বীকার করছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর গোলপুকুর পাড় থেকে গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন।
নিহত সাইদুল ইসলাম (৪০) নগরীর ওই এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আলোচিত শামসুল হুদা সুমন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামি ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, ৫ অগাস্টের পর সাইদুলের বিরুদ্ধে জমি দখল, বালুরঘাট দখল, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে। এসব ঘটনায় যৌথ বাহিনীর কাছে একাধিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে সাইদুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর একটি দল। মধ্যরাতে আটকের পর সাইদুল অসুস্থ হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে সাইদুল মারা যান বলে জানান তিনি।
তবে পরিবারের দাবি, গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক মারধরের কারণে সাইদুলের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্মচারীরা জানান, রাত ১টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ছয়জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ারা হলেন- ময়মনসিংহ নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার মাছুম (২৩), নান্দাইলের মারুফ (২০), নগরীর চরকালীবাড়ী এলাকার হিমেল (২২), একই এলাকার রিয়াজ (২০), নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার সালদীঘা এলাকার মামুন এবং মুক্তাগাছা সৈয়দপুর গ্রামের রাসেল (৩০)।