২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খালেদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানান এপিপি।
Published : 23 May 2024, 06:00 PM
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় কাপড় ধুতে বলায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেনবলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) আমিনুল ইসলাম।
দণ্ড পাওয়া মোজাম্মেল হোসেন রাজু (৩১) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাটিষক গ্রামের নুরুন্নবী ওরফে নুর আলমের ছেলে।
মামলার বরাতে এপিপি আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে নাঙ্গলকোট উপজেলার পূর্ব দৈয়ারা গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে খালেদা আক্তারের সঙ্গে মোজাম্মেলের বিয়ে হয়। বিয়ের বছর দুয়েক পরেই বেকার হয়ে পড়েন মোজাম্মেল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় কলহ চলত। ২০১৫ সালে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
“২০১৮ সালের ২ নভেম্বর মোজাম্মেল শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান মিলে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে খালেদা গোসল শেষে তার স্বামীকে কাপড় ধুয়ে দেওয়ার জন্য বললে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
“এক পর্যায়ে মোজাম্মেল তার স্ত্রী খালেদার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশে পুকুর ঘাটে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।”
এ ঘটনায় একই বছরের ৩ নভেম্বর খালেদার ভাই মোবারক হোসেন নাঙ্গলকোট থানায় মোজাম্মেলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমিনুল।
গ্রেপ্তারের পর মোজাম্মেল তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান তিনি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামি মোজাম্মেলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বলে জানান এপিপি।