র্যাবের দাবি, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা-বরিশালের লঞ্চে নাশকতা করে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল রনির।
Published : 15 Nov 2023, 02:58 PM
নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বরিশালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৮ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি (৩৬) এবং সরকারি সৈয়দ হাতেম কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব আহাদ হোসেন আবির (২৭)।
ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম রনির মা রাশিদা জাহান মায়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে স্ব-রোড সোনালী আইসক্রিম মোড়ে বোনের (রনির খালা) বাসা থেকে রনিকে এবং নগরীর দপ্তরখানা রোডের নিজ বাসা থেকে আবিরকে গ্রেপ্তার করে সাদা পোশাকের একটি দল।”
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি রনির একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। যার সূত্র ধরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা-বরিশালের লঞ্চগুলোতে নাশকতা করে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য ছিল তার।”
রনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, “দলীয় নির্দেশে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় এবং পরবর্তী সময়ে বরিশালে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা পরিচালনা ও পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
“এবং নিজের লোকজন দিয়ে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তার ভিডিও দেশে ও দেশের বাইরে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কাছে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি এসব ভিডিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়েছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, “দলে নিজের অবস্থান দৃঢ় করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এটা বোঝানোর চেষ্টায় রনি এসব করতেন।”
বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে দলের শীর্ষ পর্যায়ের যারাই জড়িত রয়েছে বলে প্রমাণিত হবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার আহাদ হোসেন আবির রনির সহযোগী। রনির নির্দেশে তিনি বরিশালে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাস্তা অবরোধসহ চোরাগোপ্তা হামলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
রনি এর আগেও অগ্নিসংযোগের মামলায় কারাভোগ করেছেন জানিয়ে র্যাব জানায়, দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে আগের পাঁচটি মামলা আছে। ২৮ অক্টাবরের পর ঢাকা ও বরিশালের বিভিন্ন নাশকতার মামলায় তাদের আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সংশ্লিষ্ট থানায় দুইজনকে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।