কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইউএনওর চিঠি জাল করার অভিযোগ

“ভুল হয়েছে, দোষ স্বীকার করে ইউএনওর কাছে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়েছি।”

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2023, 03:59 PM
Updated : 4 May 2023, 03:59 PM

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠি জাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন তার চিঠি জাল করেছেন বলে জানান ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদ। 

তিনি জানান, দোষ স্বীকার করে এরই মধ্যে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ছোটন। 

ইউএনও বলেন, “রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার জন্য সড়কের দুই পাশের কোটালীপাড়া অংশের গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তনের জন্য ফরিদপুর সামাজিক বনবিভাগ থেকে ২০১৭ সালে ৭১ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ওই গাছগুলো টেন্ডার দিতে হলে মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমার দপ্তর থেকে ১০ এপ্রিল ফরিদপুর সামাজিক বনবিভাগের কর্মকর্তার কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়।” 

“কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন গাছের টেন্ডারটি নিজে বাগিয়ে নেওয়ার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে একটি জাল চিঠি দেন। তিনি সামাজিক বনবিভাগের ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নামের স্থলে জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জের নাম বসিয়ে জাল চিঠি তৈরি করেন। 

“চিঠিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের হাতে পৌঁছায়। তিনি ওই চিঠি সম্পর্কে আমার কাছে মৌখিকভাবে জানতে চান। 

ইউএনও আরও বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করলে প্রমাণিত হয় যে, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চিঠিটি জাল করেছিলেন। পরে তিনি এর দায়ও স্বীকার করে নেন।” 

তিনি আরও বলেন, “তার এই মুচলেকার কপিসহ আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।” 

তবে কোটালীপাড়া ইউএনওর দপ্তর থেকে ফরিদপুর সামাজিক বনবিভাগের কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিটি কীভাবে চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন সংগ্রহ করেছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদ। 

চিঠি জাল করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনও। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। তাই আমি দোষ স্বীকার করে ইউএনওর কাছে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়েছি।” 

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন যদি দোষী হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”