শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।
Published : 11 Jul 2024, 07:59 PM
কোটা বাতিলের দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধের সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে যান। এ সময় মহানগর পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বাধা দেওয়ার সময় পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এতে ১৫-২০ জন আন্দোলনকারী আহত হন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিকাল ৩টা থেকে তাদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে গোলচত্বরে জড়ো হন।
পরে বিকাল সোয়া ৪টা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকের দিকে যান। এরপর আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বায়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে প্রধান ফটকে আসি। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হন।
“আমরা বাধা উপেক্ষা করেই দাবি আদায়ের জন্য সড়ক অবরোধ করি।”
আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সড়কে যানজট হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা ছাত্রনেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলছি।”
পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধের পর বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ ছাড়েন।
অবরোধকালে সড়কের দুপাশে তীব্র যানজটের তৈরি হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। এর আগে তারা ক্যাম্পাসে মিছিল করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি সড়কে ছিল। শিক্ষার্থীরা কিছু সময় আন্দোলন করে চলে গেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।”