এ ঘটনায় অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন।
Published : 18 Feb 2025, 11:30 PM
ফেনীতে পিকআপে কভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নিহত ছয় নির্মাণশ্রমিকের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় আহত এক শ্রমিক থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাঈল হোসেন, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা কান্তা।
পরে ছয়টি লাশ তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজেদের বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা।
এ ঘটনায় আহত শ্রমিক বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি হারুনুর রশিদ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমাঈল হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মর্গের খরচ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার টাকা।
নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কাজ সেরে ফেনী শহরে ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজি মাদ্রাসা এলাকায় নির্মাণশ্রমিক বহন করা পিকআপে একটি কভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- ভোলার মনপুরা থানার দাসেরহাট গ্রামের মো. নুর হোসেনের ছেলে মো. জুবায়ের মনির, একই গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (২২), একই থানার চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩০)। বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার সোবহান ফরায়জীর ছেলে সাদ্দাম ফরায়জী (২৫) ও মোড়লগঞ্জ থানার পাতাবাড়িয়া এলাকার সাবুল শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (২৮)। কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার বালিগাঁও এলাকার আনার উদ্দিনের ছেলে মো. মারুফ মিয়া (১৯)।
এ ঘটনায় অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- মনির (৪০), নাগর মাঝি (৪০), জাহাঙ্গীর (৩০), সবুজ (২৫) ও নাগর (৩৫)। তারা সবাই ভোলা ও বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা।
ইউএনও নাসরিন সুলতানা কান্তা বলেন, “ভোলার নিহত তিনজনের লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে, বাগেরহাটের দুইটি লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে ও কিশোরগঞ্জের একটি লাশ
অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বজনরা দাফনের জন্য বাড়ি নিয়ে যান।
নিহত নাজমুল শেখের স্বজন রুহুল আমিন বলেন, “কাজের সুবাদে নাজমুল ফেনীতে একা থাকতেন। দুপুরে মরদেহ বুঝে পাওয়ায় দাফনের জন্য বাগেরহাটের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমাদের পরিবারে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।”
মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, “কভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পিকআপের ছয়জন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
“পিক-আপে থাকা শ্রমিক সর্দার আহত সবুজ বাদী হয়ে কভার্ড ভ্যানের চালককে আসামি করে মামলাটি করেন৷ ঘটনার পর কভার্ড ভ্যানের চালক পালাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।”
আরো পড়ুন: