নিখোঁজের ৫ বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার

২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর খায়রুল আর ফেরেননি।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2022, 08:50 PM
Updated : 5 Oct 2022, 08:50 PM

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ বছর পর এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে সিআইডি।

বুধবার বিকালে কানুদাশকাঠি গ্রামে মাটি খুঁড়ে মীর খায়রুল নামের এই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয় বলে সিআইডি জানিয়েছে।

‘মাদক ব্যবসার’ বিরোধের জেরে তাকে চারজনে মিলে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়েছিল বলে সিআইডি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে।

২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর খায়রুল আর ফেরেননি। ওই ঘটনায় খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার ছিল সিআইডির হাতে।  

কঙ্কাল উদ্ধারের পর ঝালকাঠি সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক জানান, খুন হওয়া মীর খায়রুল রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড়ের আনছার মীরের ছেলে। তিনি রাজাপুর বাইপাস এলাকায় একটি পরিবহনের কাউন্টারে টিকিটের ব্যবসা করতেন।

মামলার বরাতে এহসানুল হক বলেন, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তাকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস নামে একই উপজেলার চার যুবক মিলে হত্যা করেন। পরে তার লাশ নলবুনিয়া গ্রামে মনিরের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেন তারা। এ ঘটনার এক মাস পরে ওই চারজন মিলে লাশ তুলে পাশের গ্রাম কানুদাশকাঠির একটি মসজিদের পেছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে পুনরায় মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।

এএসপি এহসানুল আরও বলেন, গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি এলাকা থেকে মিরাজুল ইসলাম মিজু নামে এক ব্যক্তি আটক করে সিআইডি। তিনি দ্বিতীয়বার মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।  তার দেওয়া তথ্যে সিআইডি নিহতের কঙ্কাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে খুনের ঘটনায় জড়িত ওই চার ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।

খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজের করা মামলায় পাঁচ জনের না উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও সাতজনকে আসামি করা হয়েছিল এবং ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর হয় বলে এই সিআইডি কর্মকর্তা জানান।