মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের ‘আধিপত্য বিস্তারের’ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩

গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর একজনের চিকিৎসা চলছে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2024, 01:55 PM
Updated : 20 Feb 2024, 01:55 PM

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার উপজেলার আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে এ সংঘর্ষ হয়। 

এ ঘটনায় আধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া ও একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন সরকার একে অপরকে দুষছেন। 

পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে শাকিল ও জুয়েল নামের দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর আয়নালের চিকিৎসা চলছে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে। 

আহত বাকি সাতজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, আধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়ার অনুসারীদের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন সরকারের সমর্থকদের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল।   

“এর জেরে বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সুরুজের অনুসারী হানিফ দেওয়ান ও সামিমের নেতৃত্বে আলী হোসেনের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা ও গুলি চালানো হয়। পরে আলী হোসেনের লোকজনও ওই গ্রামে প্রতিপক্ষের পাঁচটি দোকান ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।” 

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল হাসান বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুরুজ মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আলী হোসেনের সমর্থকদের হামলায় আমার ৫/৬ জন অনুসারী আহত হয়েছেন।শুধু তাই না, তারা ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং আমার সমর্থকদের দোকান ভাংচুর করে।” 

আর আলী পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, “সুরুজ মিয়ার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়, গুলি করে। এতে আমার তিন সমর্থকসহ ১০ জন আহত হয়েছে।“