“যদি সীমান্তে আর লাশ পড়ে, আমরা ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করব।”
Published : 09 Oct 2024, 10:05 PM
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ এবং অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক ঘুরে ফের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সিফাতুল্লাহ বলেন, “স্বৈরাচার পতনের পর আমাদের বিরুদ্ধে গুজব রটানো হয়েছিল যে, আমরা নাকি সংখ্যালঘুদের হত্যা করছি। বাংলাদেশ কখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বা হত্যার পথ অবলম্বন করেনি বরং ভারত তার নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করেছে।
“স্বৈরাচার পতনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমেই একটি সরকার এসেছে। আমরা প্রত্যেক হত্যার বিচার দাবি করছি। আমরা দিল্লির তাঁবেদার হতে চাই না।”
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে আমরা ভারতের বন্ধু হতে চেয়েছি, কিন্তু ভারত প্রতিদানে আমাদের লাশ ও বন্যা দিয়েছে। আমাদের দুই দেশের অভিন্ন নদীর অধিকার সমানভাবে রক্ষা করা উচিত।”
তিনি বলেন, “মোদি সরকারকে বলে দিতে চাই, আপনারা নদী আইন লঙ্ঘন করছেন, এর পরিণতি ভালো হবে না। যদি সীমান্তে আর লাশ পড়ে, আমরা ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করব। আমাদের বন্ধু হয়ে থাকুন, আগ্রাসনের পথে হাঁটবেন না।”
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ওয়ায়েজ রিজন, স্বপন আহমেদ, জিয়া উদ্দিন আয়ান।