রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যার মামলায় এক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার রংপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল ইসলাম শুনানি শেষে আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আদালতের পরিদর্শক মীর আতাহার আলী জানান।
আসামি আব্দুর রাজ্জাক কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা সোনা মিয়া হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি।
গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন তিনি। এ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
নিহত সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
মামলার বরাতে পরিদর্শক মীর আতাহার জানান, গত ২৪ এপ্রিল বিকালে খানসামা হাটে ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রীর আসার খবরে নেতা-কর্মীরা টিপু মুনশির নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
“এ নিয়ে আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে অন্য নেতা-কর্মীতের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতি দেখে টিপু মুনশি গাড়ি থেকে না নেমেই ফিরে যান।
“এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চার নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে আবদুর রাজ্জাকের লোকজন।”
পরে এ ঘটনায় সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান (২৯) বাদী হয়ে আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ ৭৬ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
কাউনিয়া থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ২ নম্বর ও ৩ নম্বর আসামি পলাতক রয়েছেন। বাকি ৬৬ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: