টুঙ্গিপাড়ায় ৭১৪ শিক্ষার্থীর কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

এ সময় পুরো হেলিপ্যাড মাঠ যেন পরিণত হয় রেসকোর্স ময়দানে; ক্ষণিকের জন্য ফিরে আসে সেই প্রদীপ্ত ৭ই মার্চ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2024, 10:41 AM
Updated : 7 March 2024, 10:41 AM

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় একসঙ্গে ৭১৪ শিশু শিক্ষার্থীর কন্ঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ধ্বনিত হয়েছে ।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে হেলিপ্যাড চত্বরে ১০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ আয়োজন করা হয়।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ১৯ মিনিটের ১ হাজার ১০৮ শব্দের বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ-এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর সাজে সজ্জিত শিশুদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়।

এ সময় পুরো হেলিপ্যাড মাঠ যেন পরিণত হয় রেসকোর্স ময়দানে; ক্ষণিকের জন্য ফিরে আসে সেই প্রদীপ্ত ৭ই মার্চ।

অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

ইউএনও মঈনুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস।স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীদের সংকটময় মুহূর্তে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার উচ্চারিত ১ হাজার ১০৮ শব্দমালার সুনিপুণ বুনন বাঙালি জাতিকে দিয়েছে স্বাধীন মাতৃভূমি ও অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ।

“তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে ৭ই মার্চের ভাষণ তাদের আত্মস্থ করানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর উনিশ মিনিটের সেই ভাষণ পুরোটাই মুখস্ত করে এসেছিল ১০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭১৪ শিশু শিক্ষার্থী। তাদের ভাষণে মুগ্ধ হন অতিথি, সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ উপস্থিত সর্বস্তরের মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহীদউল্লা খন্দকার বলেন, “৭১৪ জন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী ভাষণ মুখস্ত বলেছে। এ রকম একটি ৭ই মার্চ টুঙ্গিপাড়ার ইতিহাসে বিরল।

“এর মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের বলেন, “৭ মার্চের এ অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। এর মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করার প্রয়াস নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আমি তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।”

শিশু শিক্ষার্থীদের ভাষণ শেষে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ১ হাজার ১০৮ শব্দ সংবলিত বেলুন প্ল্যাকার্ডের সঙ্গে ওড়ানো হয়। পরে ‘৭ই মার্চের ভাষণের শব্দমালা নিয়ে শব্দ শোভাযাত্রা’ নামের ব্যানারে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রটি টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিশু শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাসুদুল হক, টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।