‘অবৈধ চিকিৎসা’ বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, “ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে যা দেখলাম, অন্য হাসপাতালগুলোর যে অবস্থা, একই অবস্থা এখানেও। এখানেও রোগীদের মাটিতে শুয়ে থাকতে হচ্ছে।”

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2024, 01:57 PM
Updated : 7 March 2024, 01:57 PM

ভুয়া চিকিৎসক ও অবৈধ চিকিৎসা বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “এটি শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়। এজন্য গ্রামে-গঞ্জে যেসব সংসদ সদস্য আছেন, চেয়ারম্যান আছেন ওনাদেরও এটি দায়িত্ব। ওনারা যদি এসব জায়গা ভিজিট করে সমস্যা চিহ্নিত করে আমাদের জানান, তাহলে আরও অগ্রগতি।”

জনবল সংকট স্বাস্থ্যখাতের জটিলতার বড় কারণ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সেই সংকট নিরসনে কাজ চলছে; সবার সম্মিলিত চেষ্টা প্রয়োজন। একদিনে তো পারব না। এটা ধারাবাহিকভাবে করতে হবে।”

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই, গ্রামে-গঞ্জে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাদের জানান। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ ঘুরে সেবা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

হাসপাতালের নানা সংকট নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বলেন, “আজকে ৭ ই মার্চ। তাই কথা বলার আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ”

পরে তিনি বলেন, “ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমি আগেও এসেছি। তবে আজকে এসেছি একটা দায়িত্ব নিয়ে। এসে যা দেখলাম, অন্য হাসপাতালগুলোর যে অবস্থা, একই অবস্থা এখানেও। এখানে রোগীদের মাটিতে শুয়ে থাকতে হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “গতকাল বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যাটা আমি চিহ্নিত করতে পেরেছি। এখানের বিভিন্ন উপজেলাতে জনবলের খুব অভাব। আমরা যদি ঠিকমত সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি কনসালটেন্ট দিতে পারি তাহলে উপজেলাগুলোতে ভালো কাজ হবে। আর এইখানে  মাটিতে রোগী শুয়ে থাকতে হবে না।”

পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন।