সন্ধ্যার পর আপাতত স্থগিত রাখলেও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে রাতেই পাহাড়ে সাঁড়াশী অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
Published : 24 May 2024, 11:37 PM
কক্সবাজারের টেকনাফে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে দুই দর্শনার্থীসহ তিনজন ‘অপহরণের শিকার’ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করলেও এখনো অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়ার বাঘঘোনা ঝর্ণা এলাকা থেকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
অপহৃতরা হলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পূর্ব রূপকানিয়া এলাকার মো. মোস্তাক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রিদওয়ান (২২) এবং কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়ার বাঘঘোনা এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে রিদওয়ান (১৮)।
অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসা মো. ফজলুল করিম রিয়াদ (৩৫) মোহাম্মদ রিদওয়ানের বড় ভাই।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত দুই ভাই রিয়াদ ও মোহাম্মদ রিদওয়ানের নোয়াখালিয়া পাড়ায় দোকান রয়েছে। স্থানীয় তরুণ রিদওয়ান তাদের দোকানের কর্মচারী।
স্থানীয়দের বরাতে ওসমান গনি বলেন, শুক্রবার বিকালে দুই ভাই তাদের কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ঝর্ণা দেখতে যান। এক পর্যায়ে ঝর্ণা এলাকা থেকে মুখোশধারী ৪-৫ জনের দুর্বৃত্ত দল অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নিয়ে যায়।
“গহীন পাহাড়ী এলাকার ভিতরে নিয়ে যাওয়ার সময় রিয়াদ পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে। এতে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত হলেও কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।“
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। তবে বাহারছড়া ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ের সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও অপহৃতদের উদ্ধার করা যায়নি। পরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আপাতত পুলিশ পাহাড়ে অভিযান স্থগিত রেখেছে।”
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে রাতেই সাঁড়াশী অভিযান শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।