পৌরসভার প্রশাসক নাসরীন সুলতানা বলেন, “আমি কিছু কাজ করেছি, যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।”
Published : 03 Dec 2024, 06:24 PM
রাঙামাটি পৌরসভার সামনের খেলার মাঠে ফুলের বাগান না করে সেটি শিশুদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন নাগরিকরা।
মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি পৌরবাসীর ব্যানারে পৌরসভার প্রধান ফটকের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল উদ্দিন, গ্রিন কমিউনিটির সভাপতি আব্দুল আল মামুন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওমর ফারুক, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মো. রবিউল আলম, রাঙামাটি জাসাসের সভাপতি মো. কামাল হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম শাকিল।
এতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পৌরসভার এই খোলা স্থানটিতে শহরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। একই সঙ্গে বিকালে এই এলাকাসহ আশপাশের শিশুরা এই মাঠে খেলাধুলা করে থাকে। পৌরসভার প্রশাসক জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে এখন এই কাজ করছেন। এটি নাগরিকরা ভাল নজরে দেখছে না।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই মাঠকে উন্মুক্ত রাখার দাবিও জানান তারা। নাহলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
জাসাস রাঙামাটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, “পৌরসভাটি ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই এলাকায় কোনো খোলা মাঠ নেই। ফুলের বাগানের নামে উন্মুক্ত মাঠটি এখন বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এই এলাকার শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য আর কোনো মাঠ থাকল না। এখন এরা কোথায় যাবে?”
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওমর ফারুক বলেন, “পৌরসভায় জনপ্রতিনিধি না থাকায় পৌর প্রশাসক তার ইচ্ছেমত কাজ করছেন। যেখানে জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। জনগুরুত্বপূর্ণ নানা সেবা বাদ দিয়ে জনবিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। তাতে জনসাধারণ ফুঁসে উঠছে।”
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম শাকিল বলেন, “রাঙামাটি ভৌগলিকভাবে টিলার উপরে অবস্থান। যার ফলে খোলা বা খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। যে কয়টি খোলা স্থান রয়েছে তার মধ্যে পৌরসভার এই স্থানটি।
“এই মাঠে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, পৌর প্রশাসক উন্মুক্ত এই স্থানটিতে ফুলের বাগানের নামে খোলা মাঠটি দখল করছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা চাইব, দ্রুত এমন সিদ্ধান্ত থেকে উনি সরে আসবেন। যদি তা না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন করতে আমরা বাধ্য হব।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক নাসরীন সুলতানা বলেন, “আমি কিছু কাজ করেছি, যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। আমি যা করেছি, এর কারণে কোনো ক্ষতি হবে না। ফুলের জন্য যে দেয়াল দেওয়া হচ্ছে তা খুব বেশি উঁচু নয়। এতে সমস্যা হবে না।”