এ ঘট্নায় কাউকে আটক করতে পারেনি যৌথবাহিনী।
Published : 21 Apr 2025, 06:41 PM
খাগড়াছড়িতে অপহৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের অভিযানে গিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের গোপন আস্তানায় সন্ধান পাওয়ার দাবি করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সোমবার দুপুরে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর সন্ধানে সোমবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণচন্দ্র কারবারি পাড়ায় অভিযানে গিয়ে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান পায় যৌথবাহিনী।
এ সময় তালাবন্ধ একটি ঘর দেখে সেনাবাহিনীর সন্দেহ হয় ও পাড়ার লোকজনের সাহায্যে তালা ভেঙে তল্লাশি চালায়।
অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সামরিক পোশাক, চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তল্লাশি চালিয়ে ব্যবহৃত তিনজোড়া পোশাক ও ১৯টি ইউনিফর্মের প্যান্ট, পিস্তলের গুলি, একটি ল্যাপটপ, কয়েকটি ওয়াকিটকি সেট, দুটি মোবাইল ফোন, একটি মাইক্রো ফোন, একটি ক্যামেরা, একটি প্রিন্টার, সেলাই মেশিন, তাবু, নেট, জিম্মি ধরে রাখার লোহার শেকল, টুপি, খাবারের তৈসজপত্র, প্রোপাগান্ডা সামগ্রী, চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনালের শরীফ মো. আমান হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার সকালে বিঝু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে পাঁচ শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ জন্য শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছেন সন্তু লারমার জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপন ত্রিপুরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
ঘটনার দিন থেকেই ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।
নিরাপত্তা বাহিনীর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অপহৃতদের উদ্ধারে প্রয়োজনে প্রতি ইঞ্চি জমি তল্লাশি করা হবে।”
গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন সড়কেও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”