গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

২০১৩ সালে চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সোহেল।

গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

গাজীপুরে অপহরণের পর স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার গাজীপুরের দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. বাহাউদ্দিন কাজী চার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মাহবুব আলম মামুন জানান।

দণ্ডিতরা হলেন- সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আলম মামুন (১৯), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪), মো. তানজিল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)। শাহ আলম, মিলন এবং শফিকুল পলাতক।

যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।

এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন সোহেলের বাবা ফজলুল হকের মোবাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

এরপর ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা গ্রামের মিনারদাগ এলাকার গজারি বন থেকে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

তদন্তের পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সোমবার সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।